১৯৩০ সাল থেকে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট বিশ্বকাপের আয়োজন করে আসছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে সংস্থাটির বাছাইয়ে পাস করা দলগুলো এতে অংশ নেয়। তার আগেই বেছে নেয়া হয় আয়োজক দেশ।
প্রায় দুই মাস হতে চললো সফলভাবে শেষ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। যেখানে ৩৬ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছে লাতিনের দেশ আর্জেন্টিনা। ইতোমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচিত হয়েছে। যেখানে স্বাগতিকের মর্যাদা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা।
এবার অপেক্ষা পরবর্তী আসরের স্বাগতিক হওয়ার। আর এ আসরটি সব দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ আসর। কেননা এটি হতে ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষী আসর। আর যেটি অনুষ্ঠিত হবে ২০৩০ সালে।
যেহেতু ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসরের স্বাগতিক হয়েছিল লাতিনের দেশ উরুগুয়ে, তাই এবার বিশ্বকাপের শতবর্ষী আসরের আয়োজনও করতে চায় লাতিনের দেশ। তবে একা নয় যৌথভাবে। যেখানে উরুগুয়ে ছাড়াও রয়েছে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও চিলি।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে চার দেশের ফুটবল কর্মকর্তারা কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিনগুয়েজের উপস্থিতিতে শতবর্ষী বিশ্বকাপ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
২০১৭ সালে প্রাথমিকভাবে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও দুই লাতিন দেশ চিলি ও প্যারাগুয়ে।
এর আগে উরুগুয়ে ১৯৩০,চিলি ১৯৬২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।তবে বৈশ্বিক এ আসরটি কখনো আয়োজন করা হয়নি প্যারাগুয়ের। তাই তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে স্বাগতিক হতে।
তবে চাইলেই তো হবে না।কেননা শতবর্ষী আসরের আয়োজক হতে যেq চায় ইউরোপ থেকে স্পেন ও পর্তুগাল।আর আরব দেশ থেকে মরক্কো ও সৌদি আরব।শেষ পর্যন্ত কে পাবে বিশ্বকাপের শতবর্ষী আসরের আয়োজক হতে তা জানা যাবে ২০২৪ সালে।