পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে রইল বায়ার্ন মিউনিখ। শেষ ষোলর প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। বাভারিয়ানদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান।
দীর্ঘ বিরতির পর ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ফিরেছে ক্লাবগুলো। ঘরের মাঠে পুরনো হিসাব-নিকাশের অপেক্ষায় থাকা পিএসজি আরো একবার পিছিয়েই রইল। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ।
তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে ম্যাচের আগে নিস্তব্ধতা নেমে আসে পার্ক দে প্রাসে।
পিএসজির জন্য ম্যাচটা প্রতিশোধের হলেও চেনা আঙিনায় বড্ড অচেনা ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। শঙ্কা কাটিয়ে শুরুর একাদশে ফিরেছিলেন লিওনেল মেসি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক জাইর এমেরির। প্রথমার্ধে অন টার্গেটে শট মাত্র ১টি।
কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী এমবাপের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছিল তারা। কোন অন টার্গেট শটই নিতে পারেনি ক্লাবটি। বিপরীতে চুপি-মোটিং, জশুয়া কিমিখরা পিএসজি রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছে বারবার। যদিও সাফল্য আসেনি।
বিরতির পর ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে পিএসজির সাবেক তারকা কিংসলে কোম্যানের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। গোল হজমের পর এমবাপ্পেকে মাঠে নামায় কোচ। তাতে পিএসজির খেলায় পরিবর্তনও আসে।
এমবাপ্পে মাঠে নামার পর ৭৩তম মিনিটে বায়ার্নের জালে বল পাঠান এই ফরাসি তারকা। কিন্তু কপাল খারাপ পিএসজির, গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
৮২তম মিনিটে আরও একবার বায়ার্নের জালে বল পাঠান এমবাপ্পে। কিন্তু এবারও এই গোলটিও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে বায়ার্ন ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা না থাকায় দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের মাঠে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই সরাসরি শেষ আটে যাবে পিএসজি।