টানা দুইবার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।এর কিছুক্ষণ পর ইনজুরি নিয়ে ছাড়লেন মাঠও,যদিও দিন শেষে তার এই এলোমেলো পারফরম্যান্স প্রভাব রাখতে পারেনি ফলাফলে।সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মন্টেপ্লেয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে থেকেই ছিলেন না নেইমার,এরপর এমবাপ্পের এমন ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবে ভীষণ চাপ পড়ে লিওনেল মেসির ওপর,তারপরও প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।তিনটি গোলই হয় ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
যদিও চাপ কাটিয়ে দলকে সামনে থেকে পথ দেখান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।দারুণ সব আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন,গোলও পেলেন।সঙ্গে আলো ছড়ালেন ফ্যাবিয়ান রুইজ।তাদের নৈপুণ্যে মন্টেপ্লেয়ারকে হারিয়ে লিগ ওয়ানে জয়ে ফিরল পিএসজি।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই ডি-বক্সে এমবাপ্পেকে ফাউল করে মন্টের ডিফেন্ডার জুলিয়ান,তবে সেই ফাউল থেকে প্রাপ্ত পেনাল্টি কাজে লাগাতে ব্যর্থ ফরাসি স্ট্রাইকার।তার পেনাল্টি রুখে দিলে বল আবারো চলে যায় তার পায়ে,তবে ফাঁকা জাল পেয়েও গোল করতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী এই তারকা।বল পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন।
অবশ্য ভারের কল্যাণে এমবাপ্পের ভাগ্য আরও সুপ্রসন্ন হয়।পেনাল্টিতে শট নেয়ার সময় ফিফার নির্ধারিত নিয়ম ভঙ্গের কারণে পুনরায় পেনাল্টির সুযোগ পান এমবাপ্পে,এবারও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই ইনজুরিতে পরে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে।তার বদলি হিসেবে নামেন একিটিকে।প্রথম হাফে বেশকিছু সুযোগ নষ্ট করেন মেসি-সোলেররা। গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় পিএসজি।ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে একিটিকের থ্রু বল পেয়ে সহজে বল জালে জড়ান ফ্যাবিয়ান রুইজ।এরপর ম্যাচের ৭২ মিনিটে সেই রুইজের বল থেকে গোল করেন মেসি।
তবে ৮৯তম মিনিটে আলভারোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করে স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলেন নুরদিন।কিন্তু যোগ করা সময়ে জায়ার-এমেরির গোলে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মার্শেই।