লিগ ওয়ানে আগের টানা ম্যাচ হেরে বেশ সমালোচনাতেই পড়েছিল পিএসজি। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকলেও পরাজয়ের ফলে কোনঠাসা হয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তবে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের এক ম্যাচ পর ঘুরে দাঁড়ালো ক্রিস্তফ গালতিয়েরের শীষ্যরা।
শনিবার (৮ এপ্রিল) অ্যালিয়াঞ্জ রিভেইরায় স্বাগতিক নিসের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। প্যারিসিয়ানদের পক্ষে লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস গোল দুটি করেন। গোলের সঙ্গে অন্য গোলটির এসিস্ট করেছেন মেসি।
এদিন দলের হয়ে করা প্রথম গোলটি করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে টপকে যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কিং লিওনেল মেসি।তবে রোনালদোর রেকর্ড নিজের করে নেয়া এটাই প্রথম নয় মেসির।এর আগেও রোনালদোর করা অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
পর্তুগিজ যুবরাজ বর্তমানে ইউরোপিয়ান লিগ ছেদে সৌদি আরবের প্রো লিগে মাঠ মাতাচ্ছেন। সেখানে গোলের ফোয়ারা ফুটিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সেটা তার ক্লাব গোল বা ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ডে জমা হলেও ইউরোপিয়ান ক্লাব ক্যারিয়ারের যে খাতা রয়েছে সেখানে জমা হবে না। আর সেই সুযোগেই রোনালদোকে এদিন পেছনে ফেলেন মেসি।
লিগ ওয়ানের ম্যাচে গতরাতে নিসের বিপক্ষে করা গোলটি ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসির ৭০২তম গোল। এতে করে তিনি পেছনে ফেলেন ৭০১ গোল নিয়ে শীর্ষে থাকা রোনালদোকে। সেই সঙ্গে তিনি হয়ে যান এককভাবে ইউরোপে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড়। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকা ৭০২ গোল করতে খেলেছেন ৮৪৬ ম্যাচ।
আর এই মাইলফলক স্পর্শ করার পথে তিনি রোনালদোর আরও একটি রেকর্ড ছাড়ান। পর্তুগিজ মহাতারকাকে ইউরোপের ফুটবলে ৭০১ গোল করতে খেলতে হয়েছে ৯৪৯ ম্যাচ। সেখানে আর্জেন্টাইন এলএমটেন তার থেকেও প্রায় ১০০ ম্যাচ কম খেলেছেন।
একই রাতে মেসি আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন। নিসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগ পর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে মেসির গোলে অবদানের সংখ্যা ছিল ৯৯৮। কাল নিজে গোল করে প্রথমে সেটিকে ৯৯৯ নিয়ে যাওয়ার পর রামোসকে দিয়ে এক গোল করিয়ে স্পর্শ করেছেন ১০০০ গোলে অবদান রাখার মাইলফলক। নিস ম্যাচ শেষে ক্লাবের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা ৭০২ এবং অ্যাসিস্ট ২৯৮টি।